ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ , ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
হরমুজ প্রণালী অবরোধ ও মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান ভারতের ওপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে পারে নিজস্ব মজুদ কমায় ইউক্রেনে অস্ত্রের চালান স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে বিসিবির বাইরের যারা থাকবেন এশিয়া কাপের সম্ভাব্য সূচি প্রকাশ, একাধিকবার মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান চেলসি ছাড়লেন কেপা, আর্সেনালে নতুন যাত্রা বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষকের স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে শামিকে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে অনিশ্চিত ভারতের বাংলাদেশ সফর মিয়ানমারকে হারিয়ে নারী এশিয়ান কাপে ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সমতা ফেরাতে মরিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ জুভেন্টাসকে হারিয়ে শেষ আটে রিয়াল, কোয়ার্টারে বরুশিয়ার মুখোমুখি যেসব কারণে হাইকোর্টে আসামিদের সাজা কমলো নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না-অর্থ উপদেষ্টা শেখ হাসিনাসহ তিন জনের পক্ষে শুনানি ৭ জুলাই যতক্ষণ দুঃখ প্রকাশ না করছো তোমরা শান্তি পাবে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সঙ্কট, নিরসনের উদ্যোগ ময়মনসিংহে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪০ লুটপাট-অগ্নিসংযোগ

​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
​যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের মাসিক বিমান ভাড়া ৪০ হাজার টাকা!
যশোর থেকে শেখ দিনু আহমেদ
যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব সপ্তাহের দুইদিন ঢাকায় বিমানে যাতায়াত করেন। একবার ঢাকায় বিমানে যেতে ৫ হাজার টাকা লাগে। সেখানে তিনি প্রতি মাসে আটবার ঢাকায় যাতায়ত করেন। অর্থাৎ প্রতি মাসে তার বিমান ভাড়া বাবদ ব্যয় হয় ৪০ হাজার টাকা। প্রতি মাসের অবৈধ উপার্জনের টাকা থেকে তিনি এই অর্থ ব্যয় করেন বলে অফিসের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুত্রমতে, যশোর  জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব অবৈধভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করেন। অবৈধ আয়ের খাতগুলো হচ্ছে, প্রতিদিন যশোর সদরসহ ৮ উপজেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার দলিল  সম্পাদিত হয়। এর প্রতিটি দলিল থেকে ১শ’ টাকা, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২শ’ টাকা হারে জেলা রেজিস্ট্রারকে বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন ৫ হাজার দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে যদি ১শ’ টাকা হারেও ঘুষ দেয়া হয়, তাহলে প্রতিদিন এ খাত থেকে জেলা রেজিস্ট্রার ৫ লাখ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন। এছাড়া যশোরের ৮ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের কাছ  থেকে প্রতি মাসে চুক্তি মাফিক তিনি একটি বড় অংকের উৎকোচ পেয়ে থাকেন। যশোর জেলায় ১২২ জন কাজী রয়েছেন যারা প্রতি মাসে অফিসের বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রারকে একটি ধার্য রেটে ঘুষ দিয়ে থাকেন। যশোর জেলা রেজিস্ট্রারের রেকর্ড রুম থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার দলিলের নকল সরবরাহ করা হয়। এখাত থেকেও বড় বাবুর মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রার উৎকোচ পেয়ে থাকেন। তাছাড়া উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসগুলো অডিট ও রদবদলের ক্ষেত্রেও জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জন রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে জেলা রেজিস্ট্রারের অবৈধ উপার্জনের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়নি। তবে প্রতি মাসে তার লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন আছে তা অনুমান করা গেছে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুর্নীতির এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ